কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের চাষী পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, পাট ও গম বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের অর্থায়নে আঞ্চলিক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সিলেট অঞ্চল, সিলেটের সম্মেলন কক্ষে একদিন ব্যাপী আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। আঞ্চলিক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ মোঃ আলতাবুর রহমান, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সিলেট অঞ্চল, সিলেট। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ মো. শাহজাহান, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মৌলভীবাজার; কৃষিবিদ মো. ফজলুর রহমান, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, হবিগঞ্জ; কৃষিবিদ মো. জাহেদুল হক, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সুনামগঞ্জ। উক্ত আঞ্চলিক কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষিবিদ মোঃ ছারওয়ার জাহান, প্রকল্প পরিচালক, চাষী পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, পাট ও গমবীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্প, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকা।
কর্মশালার শুরুতেই পবিত্র কোরাআন তেলাওয়াত করেন কৃষিবিদ গাজিউল হক, নমুনা সংগ্রহ অফিসার, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি, সিলেট। পরিচিতি পর্বের পরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, ভালো বীজে ভালো ফসল। গুণগত মানের বীজের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এ প্রকল্প কাজ করে যাচ্ছে। প্রকল্পটির সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন করে সিলেট অঞ্চলে উন্নতমানের বীজের চাহিদা পূরণের উদ্দেশ্যে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সাথে কাজ করার অনুরোধ করেন।
আঞ্চলিক কর্মশালায় মূল কার্যক্রম হিসেবে, জেলাভিত্তিক দলীয় উপস্থাপনায় মনিটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, কৃষিবিদ সুরজিত সাহা রায়, উপ প্রকল্প পরিচালক, অত্র প্রকল্প। প্রকল্পের নতুন কাঠামো অনুযায়ী এখন থেকে আর বিচ্ছিন্নভাবে প্রদর্শণী নয় বরং ক্লার্স্টাড বা দলীয়ভাবে বীজ উৎপাদনের মাঠ নিশ্চিত করতে হবে। প্রকল্পের সহায়তা কৃষকরা উৎপাদিত বীজগুলো ভালোভাবে সংরক্ষণ করে পরবর্তীতে নিজস্ব প্রয়োজন মিটিয়ে বিক্রি করার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। তাছাড়া মুক্ত আলোচনায় মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের উপপরিচালক, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীগণ স্বত:স্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সীর জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসারগণ অত্যন্ত যৌক্তিক তথ্যাদি উপস্থাপন করেন।
সর্বোপরি আঞ্চলিক কর্মশালায় সভাপতি মহোদয় উপস্থাপন করেন, কৃষি নীতি ও কৃষি সম্প্রসারণ ম্যানুয়ালকে ভিত্তি করে কৃষির কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। দলীয়ভাবে মাঠের কাজগুলো করতে হবে । যদিও প্রতি ব্লকে ১২ টি করে দল গঠনের প্রস্তাবনা রয়েছে তারপরও এ প্রকল্পের আওতায় প্রতি ইউনিয়নে আপাদত অন্তত ১ টি দল তৈরি করে কাজ বাস্তবায়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে ফসল ভিত্তিক দল করার জন্য তিনি আহবান করেন। প্রতি ব্লক তথা ইউনিয়নের বীজের চাহিদা স্থানীয়ভাবেই মেটানোর উদ্দেশ্যেই মূল উদ্দেশ্য।
আঞ্চলিক কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি, উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র, বিএডিসি, কৃষি তথ্য সার্ভিস, হর্টিকালচার সেন্টারের সম্মানিত কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর সম্মানিত বিজ্ঞানীবৃন্দ । আঞ্চলিক কর্মশালার সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন কৃষিবিদ মোহাইমিনুর রশিদ, আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার, কৃষি তথ্য সার্ভিস, সিলেট।